যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের নিজস্ব ও দলের দ্বারা স্বীকৃত প্রচার ব্যবস্থা রহিয়াছে তথাপি, তৃণমূলের হইয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু স্বঘোষিত প্রচারকদের মধ্যে অধুনা একটি প্রবণতা লক্ষ করা যাইতেছে যে, প্রচার কিছু হউক বা না হউক বিশেষ উদ্দেশ্যে তাহারা জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে নিজ নিজ সোশ্যাল মিডিয়া কমিটি গঠন করিতেছেন।
তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যাহারা তৃণমূল বা মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের প্রচার করিতেছেন তাহাদের সম্পর্কে ইহা প্রযোজ্য নহে।
তৃণমূলের অনেক নেতাই আশঙ্কা প্রকাশ করিতেছেন যে ইহাও এক প্রকার ঘরের ভিতরে ঘর বা উপদল যাহা আখেরে তৃণমূল দলটির ক্ষতিসাধন করিলেও করিতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের স্রোতে প্রচুর মানুষজন আসিয়া তৃণমূলে যোগ দিতেছেন, তাহাদের মধ্য হইতে কিছু সংখ্যক লোককে নিয়া এই সমস্ত উপদল গঠিত হইতেছে, যাহা প্রকৃতই চিন্তার বিষয়। কারণ এইভাবে কেহ নিজ এনজিও কেহ নিজ ট্রাস্টের কলেবর বৃদ্ধি করিতেছেন। তৃণমূলের মধ্যে অনেক নেতাই বলাবলি করিতেছেন যে তৃণমূলের নিজস্ব বহু ফ্রন্টাল সংগঠন থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের নাম ভাঙ্গাইয়া জেলায় জেলায় নিজ নিজ এনজিও বা ট্রাস্টের কমিটি বানাইয়া নিজেদের নিহিত স্বার্থ চরিতার্থ করিবার প্রচেষ্টা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের সজাগ থাকা একান্ত কর্তব্য।