জন বার্লা কে ভোট দিয়ে আলিপুরদুয়ারের কোনো উন্নয়ন হয়নি, পরিষেবা পাচ্ছে না মানুষ, রমরমা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার : ভাস্কর দে
![]() |
ডুয়ার্স সমাচার এর খবর |
![]() |
বিশেষ প্রতিবেদন , আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে বিজেপিকে ভোট দিয়ে আলিপুরদুয়ারের কোনো উন্নয়ন হয়নি, রমরমা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রি জন বার্লার বললেন দলত্যাগী বিজেপি নেতা ভাস্কর দে। ভাস্কর বাবু কটাক্ষ সুরে বলেন জন বার্লার রোজগার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পরে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে এবং তিনি আগে আট-দশ হাজার টাকা রোজগার করতেন এখন সাংসদ হিসেবে তিনি দেড়- দুই লক্ষ টাকা ভাতা পাচ্ছেন এটাই তার ব্যক্তি উন্নয়ন ছাড়া আর কিছুই হয়নি। ভাস্কর বাবু প্রশ্ন তুলেন বানারহাটে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি নির্মাণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা, তার এই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে বাড়ি নির্মাণের টাকার উৎস কোথা থেকে, যেখানে জন বার্লা নির্বাচন কমিশনকে হলফনামায় জানিয়েছেন তিনি একজন চা বাগানের শ্রমিক । ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে জন বার্লা প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয় l ২০২১ এর বিধানসভা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার সংসদীয় ক্ষেত্র আলিপুরদুয়ারে সাতটি বিধানসভার ক্ষেত্র সাতটিতেই জয়লাভ করে ভারতীয় জনতা পার্টি l ২০১৯ এর লোকসভা এবং ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে সমগ্র উত্তরবঙ্গের লোক দুই হাত তুলে বিজেপি কে ভোট দিলেও আলিপুরদুয়ার তথা উত্তরবঙ্গের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা কোন কেন্দ্রীয় প্রকল্প আনতে পারেনি l এলাকার উন্নয়নের সদর্থক ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা কে l সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর জন বার্লাকে আর এলাকাতে সেই ভাবে দেখা যায় না। সদ্যসমাপ্ত আলিপুরদুয়ার জেলার দুটি পৌরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার কাজের প্রতিফলন দেখা গেল আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটাতে। আলিপুরদুয়ার পৌরসভা নির্বাচনে অধিকাংশ ওয়ার্ডে বিজেপি প্রর্থীরা তিনশোর গণ্ডি পার করতে পারেনি, অধিকাংশ ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীরা তৃতীয় স্থানে চলে গেছেন, ভোট শতাংশের বিচারে বামেরা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আলিপুরদুয়ার পৌরসভাতে। আলিপুরদুয়ার পৌরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের মতো দল যখন খাতা খুলতে পেরেছে তখন উল্লেখযোগ্যভাবে বিজেপি আলিপুরদুয়ার পৌরসভা নির্বাচনে কোন খাতা খুলতে পারেনি। অপরদিকে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপি কোন খাতা খুলতে পারেনি। প্রায় এক বছর আগে বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, বীরেন্দ্র বাঁড়া, বিনোদ মিঞ্জরা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর, দল ছাড়েন বিজেপির আদি মুখ হিসাবে পরিচিত পেশায় আইনজীবি ভাস্কর দে। দল ছাড়েন বিজেপির জেলা সম্পাদক অর্জুন দেবনাথ, বিজেপির জেলা কোষাধক্ষ্য দেবাশিস রাউতের মতো নেতারা দল ছেড়ে তৃণমূলে, তবে ভাস্করবাবু এখনো তৃণমূলে যোগদান করেননি, এখন প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, এমনকি বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দলের মন্ডল সভাপতি এবং জেলা স্তরের মোর্চার পদাধিকারী কোন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। এমত অবস্থায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রি জন বার্লার সংসদীয় ক্ষেত্র আলিপুরদুয়ার জেলাতে বিজেপি পায় সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় পাচে পাচ বিধায়ক পাওয়া সত্বেও অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে আলিপুরদুয়ার বিজেপি। এই সমস্ত সমীকরণ পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারের গৈরিক করনের সত্বেও পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পেছনে আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের অক্ষমতা তথা বিজেপির জেলার নেতৃত্ব দের ঢিলেঢালা মনোভাব একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে । এবং আগামী দিনগুলোতে বিজেপির এর জন্য বড় খেসারত দিতে হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আলিপুরদুয়ার জেলায় "ডুয়ার্স সমাচার" নামক একটি প্রিন্ট মিডিয়ায় ৫ই মে ২০২২ তারিখে একটি খবর ভাইরাল হয়েছে। এখানে প্রাক্তন বিজেপি নেতা ভাস্কর দে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জণ বারলার বিপক্ষে অভিযোগ তুলেছেন যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বারলা মন্ত্রী হবার পর আলিপুরদুয়ারের জন্য কোন উন্নয়ন করেননি। সেই খবরটির পেপার কাটিং সহ শ্রী ভাস্কর দের বক্তব্য শ্রী দে সহ কিছু সুধী ব্যক্তির অনুরোধে পুনঃ মুদ্রিত হলো।
DISCLAIMER
The views expressed are purely the personal opinion of the interviewee and does not reflect the policy or position of the Bartamaan বাংলা সংবাদ or the interviewer is not responsible for the views expressed.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন